ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষার্থীরা হচ্ছে জাতির বাতিঘর তাদেরকে বিপদগামীতা থেতে রক্ষা করতে হবে -চকরিয়ায় এএসপি মতিউল ইসলাম

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: “আমরা হবো ফুলের মতো সবার জীবনে সুরভী ছড়াবো” শ্লোগানে কক্সবাজারের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ স্কুলে সচেতনতামূলক সভা বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ মো.নুরুল আখের।

চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল কাদের’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাংবাদিক নাছির উদ্দিন, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল মোস্তফা, আনচারুল করিম, শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন শাহনাজ সোলতানা জুহি ও দীপ্ত সুশীল শান্ত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এএসপি কাজী মো. মতিউল ইসলাম বলেন, মাদক, কিশোর অপরাধ, ইভটিজিং, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ আজ আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সামাজিক সমস্যা নিরসনে এগিয়ে আসতে হবে। একটি গোষ্ঠী গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা চালাচ্ছে। আর তাদের এসব অপপ্রচারে বিশ্বাস করে অনেকে লোক আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। প্রত্যেক স¤প্রদায়ের উচিত এসব পথভ্রষ্ট মানুষকে সচেতন করা এবং গুজব প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করা।

তিনি বলেন, শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গতিবিধি মনিটরিং করলে এবং অভিভাবকরা সচেতন হলে কোন শিক্ষার্থী বিপথগামী হবেনা। অভিভাবক এবং শিক্ষক একাট্টা হলে কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানে ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ের মতো অপরাধ সংগঠিত হবেনা। কারো সন্তান জড়িয়ে পড়বেনা জঙ্গিবাদসহ নানা অপরাধের সাথে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, স্কুল চলাকালীন সময়ে এবং সন্ধ্যার পর কোনো শিক্ষার্থীকে অযথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করা হবে। আর এ ব্যপারে শিক্ষক, অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সর্বাতœক সহযোগীতাও কামনা করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, দেশ আমাদের সকলের, তাই দেশকে ভালো রাখার দায়িত্বও সকলের। শুধু পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর সমস্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে দেশকে নিরাপদ রাখা যাবেনা। আজকের শিক্ষার্থীরা জাতির আগামীর বাতিঘর উল্লেখ করে বলেন, তোমরাই সমাজে আলো ছড়াবে। সব রকমের অন্যায়, অপ্রচার, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় ছাত্রছাত্রীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হামিদা জান্নাত, আবুল বশর, মাজাহার হুসায়েন, এস এম নুরুন্নবী, মৌলানা আহমদ হোসাইন, শফিউল আলম, মো. সাকের, মো. নুরুল মোস্তফা, বাবু রঞ্জিত কুমার দে, নুরুল ইসলাম বাবুল, জাইদুল হক, বাবু মিঠু কান্তি দেব, মৌলানা নেছারুল হক, আবু রায়হান, জুবাইদা বেগম, খুরশিদ জাহান মুক্তা, কনিকা রানী দাশ, নজরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম (শিক্ষক প্রতিনিধি), বাবু অলসন বড়ুয়া (শিক্ষক প্রতিনিধি), নুরুল মোস্তফা, জয়শ্রী তালুকদার, এম, রিদুয়ানুল হক, নুরুল ইসলাম মনি, সুজিত বড়ুয়া, জাহেদুল ইসলাম, সাগরিকা বড়ুয়া, ফখরুদ্দীন চৌধুরী, মো, ইয়াছিন, মুজিবর রহমান রুকন, সৃজন মুহুরী, তারেকুল ইসলাম, লাভলী সিকদার, আসমাউল হোসনা মলিসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবকগন ও সুশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।##

পাঠকের মতামত: